রংপুরে করোনার মতিগতি বোঝা যাচ্ছে না। কোনদিন শনাক্তের হার ২ জন আবার কোন দিন শনাক্তের হার ৩০ জনের ওপর। শীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে এমন শঙ্কা সব মহলে। এদিকে বাজার, পথঘাটে দেদারছে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে।
রমেক সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর ৯৪ জনের পরীক্ষা করে ১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ৩১ অক্টোবর ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ২৯ অক্টোবর ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ২৮ অক্টোবর ২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
রমেকে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের পর এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৯৮০ জনের পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে ৫ হাজার ৬৭৭ জনের। দেখা গেছে, আগস্ট সেপ্টেম্বরে করোনা পরীক্ষা ও শনাক্তের হার বেশি থাকলে অক্টোবরে এসে পরীক্ষা ও শনাক্তের হার কমেছে। অক্টোবরের কোন দিন ২ থেকে ৩ জনে শনাক্ত হয়েছে। আবার কোনো কোনো দিন ৩০ জনের ওপর শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে রংপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ৫২ জন। অন্যান্য জেলার তুলনায় মৃত্যুর হার কম। এটাকে অনেকে ভাল লক্ষণ মনে করলেও আসন্ন শীত নিয়ে শঙ্কিত সকলেই।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার প্রচারণা চালালেও হাট-বাজার ও রাস্তাঘাটে স্বাস্থ্যবিধি ৯০ শতাংশ মানুষই মানছে না। মাস্ক ছাড়া দেদারছে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষজন। এ অবস্থা চলতে থাকলে যে কোন মুহূর্তে করোনা শনাক্তের হার বাড়বে এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় জানান, রংপুরে করোনা শনাক্তের হার কমলেও মানুষের মাঝে সচেনতা সৃষ্টি না হলে শীতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা