কানাডায় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে না, বরং উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে ক্রমবর্ধমানহারে করোনাভাইরাস বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি, সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেয়া সত্ত্বেও করোনাভাইরাসকে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রিত করা যাচ্ছে না। যার ফলে কানাডায় বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা আশঙ্কার মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার ৫৯৪ জন, মূত্যবরন করেছেন ১৪ হাজার ১ শত ৫৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ১১ হাজার ৩৯৬ জন। কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে নাটকীয়ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ব্যাপকহারে চাপ পড়ছে।
অন্টারিওর বিভিন্ন সিটি ইতিমধ্যে রেড জোনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে সীমিতসংখ্যক লোকজনের চলাচল এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই অন্টারিও সরকার কোভিড-১৯ এর সকল জরুরি আদেশ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে সরকার এই ঘোষণাটি জানিয়েছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে সহজলভ্য না হওয়া পর্যন্ত রিওপেনিং অন্টারিও অ্যাক্টের (আর.ও.এ.) এর অধীনে সমস্ত আদেশের মেয়াদ বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলির নিরাপদ বিতরণ সমর্থন করবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সলিসিটার জেনারেল সিলভিয়া জোনস বলেছেন, আমাদের কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে অন্টারিওদের স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্য রক্ষা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসাবে দাঁড়িয়েছে। আমরা একটি নিরাপদ এবং কার্যকর টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে, এই আদেশগুলি বাড়ানো নিশ্চিত করবো। সকল ওন্টারিয়ান ভেকসিনেশনের আওতায় না আসা অবধি প্রভিন্সের জরুরি জনস্বাস্থ্যের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
একদিকে শীতের প্রকোপ, অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তবুও প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন সবকিছুর পরিবর্তন ঘটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে, এমন দিনেরই অপেক্ষায় কানাডাবাসী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ