করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে কর্মরত ডা. মোহাম্মদ হাসান মুরাদ (৪৬) মৃত্যুবরণ করেছেন।
আজ সোমবার ভোরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ডা. মোহাম্মদ হাসান মুরাদ চমেকের ৩৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি সাতকানিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মওলা পাড়ার নুরু মাস্টার বাড়ির আবদুল মোনাফের ছেলে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো।
চমেক হাসপাতাল মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, চমেকের আরটিপিসিআর ল্যাবে দায়িত্বরত ছিলেন ডা. হাসান মুরাদ। এছাড়া তিনি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। করোনা আক্রান্ত হলে তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
স্বাধীতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ডা. হাসান মুরাদ চমেক মাইক্রোবায়োলজি কোভিড শনাক্তকরণ ল্যাবে শুরু থেকে কাজ করে আসছিলেন। সেখানে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। প্রথমে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও পরে কোভিড-১৯ জীবাণু তার মস্তিস্কের কোষে বাসা বাঁধে। ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আরটি-পিসিআর ল্যাবে কাজ করতে গিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন তিনি। প্রথমে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও কোভিড-১৯ জীবাণু তার মস্তিস্কের কোষে বাসা বাঁধে। ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। করোনা পজিটিভ নিয়ে তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকে ডা. হাসান মুরাদের অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম ছিল। হাইফ্লো নজল ক্যানোলা দিয়ে তার অক্সিজেন মাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়। ভর্তির ৪ থেকে ৫ দিনের মাথায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ডা. হাসান মুরাদের বড় কোনো অসুখ ছিল না। আইসিইউতে প্রতিদিন তাকে ১২ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া হত। গতকাল রবিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে অক্সিজেনের মাত্রা আরও কমে যায়। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সোমবার ভোরে মারা যান হাসান মুরাদ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ