কক্সবাজারে লকডাউনের প্রথম দিনে অনেকটা অচল হয়ে গেছে জীবনযাত্রা। কক্সবাজার শহরে সড়কে কিছু রিকশা ও ইজিবাইক চলতে দেখা গেছে। জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিত সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। কক্সবাজার থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কক্সবাজার শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও লকডাউন কড়াকড়িভাবে চলছে। শহরে প্রধান প্রধান মার্কেট ও দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, মুদির দোকানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে। সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটন স্পট ও রিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।
লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ। সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের পাঁচটি টিম লকডাউন কার্যকর করতে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রচারণা চালিয়েছে। তারা বেশ কিছু দোকান ও ব্যক্তি পর্যায়ে জরিমানা করেছে। দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছে। লকডাউনের প্রথমদিনে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকল্পে কক্সবাজারে শহরের প্রধান সড়ক, বড় বাজারসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমিন আল পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণসহ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে অবস্থানরতদের ঘরে ফিরে যেতে মাইকিং এবং বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান-পাট নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সতর্ক করে দেয়া হয়। অপরদিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক সহ বিভিন্ন রোডে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ বাস টার্মিনাল, লিংক রোড সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে তৎপরতা চালিয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা খুব আশাবাদি সকল শ্রেনির মানুষ মাস্ক পড়া সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। সাত দিনের নিষেধাজ্ঞা যথাযথ বাস্তবায়ন করার মধ্যদিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কাঙ্খিতভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের পাঁচটি টিম লকডাউন কার্যকর করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রচারণার পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় পৃথক ২টি টিম কাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ