চট্টগ্রামে ধীরে ধীরে কমছে করোনায় মৃত্যু। আগের দিন ১০ জনের মৃত্যু হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সেটি নেমে এসেছে ২ জনে। অন্যদিকে শনাক্ত বেড়ে গেছে। নতুনভাবে শনাক্ত ২০৬ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে ১২১ জন এবং চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা পর্যায়ে ৮৫ জন রয়েছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৮৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাটহাজারীতে করোনার রোগী পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
মঙ্গলবার সিভিল সার্জন সূত্রে আরও জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৮৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনার রোগী পাওয়া যায় হাটহাজারীতে। সেখানে ১৬ জনের শরীরে মিলে করোনার জীবানু। এছাড়া লোহাগাড়ায় ১২ জন, রাউজানে ১১ জন, সীতাকুন্ডে ১০ জন, রাঙ্গুনীয়া ও ফটিকছড়িতে ৯ জন করে, মিরসরাই ও সাতকানিয়ায় ৭ জন করে, বোয়ালখালীতে ২ জন, আনোয়ারা ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় কোন রোগী পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে ৭২ হাজার ২২৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৭ হাজার ১১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ২২৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরীতে ৬৮৮ জন এবং উপজেলায় ৫৩৯ জন।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামের ১১টি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ১ হাজার ৫৮৩ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২০৬ জনের। বিআইটিআইডিতে ৫৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জন শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও নমুনা টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
করোনা রোগীর মৃত্যু কমছে জানিয়ে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক্সিকিউটিভ কমিটির (ইসি) সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মুসলিম উদ্দিন সবুজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনা রোগীর সেবায় একটি টিম কাজ করছে হাসপাতালে। কিন্তু রোগী বেড়ে যাওয়ায় সিট সংকটও আছে। এরই মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় কমে গেছে। তবে করোনা শনাক্তদের আরও বেশি করে নজরদারি করা হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। তাছাড়া চেষ্টা চলছে করোনা রোগীদের দ্রৎিুত চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্যও।
জানা গেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নগরী ও জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-এইচডিইউসহ করোনা রোগীদের সিট সংকট প্রতিনিয়ত কাজ করছে। প্রতিটি হাসপাতালের বারান্দায় রোগীর স্বজনদের হাহাকারও শুনতে হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমে আসায় কিছু স্বস্তিও দেখছেন হাসপাতাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ