শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

খরিপের পর এবার রবি মৌসুমের সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন বগুড়ার চাষিরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রবি সবজি চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবি মৌসুম আসতে এখনও প্রায় তিন মাস সময় থাকলেও চাষিরা আগাম জাতের সবজি চাষে মাঠে নেমেছেন। আগাম জাতের রবি সবজি ফলাতে কৃষি অফিসের পরামর্শে ভাল ফলনের আশা করছেন তারা। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, বগুড়ায় শীত (রবি) ও গ্রীষ্মকালীন (খরিপ) সবজি চাষাবাদ করা হয়। গ্রীষ্মকালীন সবজি উত্তোলন এখনো শেষ হয়নি। এর পাশাপাশি কৃষকরা এখনই আগাম জাতের রবি সবজি চাষে মাঠে নেমেছে। বগুড়ার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, নানা জাতের সবজি বীজতলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চাষিরা বলছেন, আগাম জাতের সবজি চাষে যেমন লাভ রয়েছে তেমনি ঝুঁকিও আছে। বীজতলার ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা আরও বেশি। কমবেশি বৃষ্টি লেগেই আছে। পাশাপাশি রোদের সঙ্গে রয়েছে ভ্যাপসা গরম। এতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি। শাজাহানপুর উপজেলা চাষি আরমান হোসেন জানান, সবজির বীজতলার জমি অবশ্যই উঁচু হতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর জাত ভেদে নিয়মানুযায়ী সবজির বীজ বপন করতে হয়। তার আগে বীজতলার জন্য বাঁশের ছাউনি তৈরি করে নিতে হবে। তিনি জানান, সারা দেশেই বগুড়ার সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রবি মৌসুমের জন্য কৃষকরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েছে। বগুড়া সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, সদর, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ উপজেলায় বছরের বারো মাস সবজি চাষ হয়ে থাকে। অন্যান্য উপজেলায়ও কমবেশি সবজি চাষ হয়। খরিপ মৌসুমে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। যা দিয়ে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়ে থাকেন। রবি মৌসুম শুরু হবে ১৬ অক্টোবর থেকে। আগাম জাতের সবজি চাষের জন্য এ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে নার্সারি বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর