শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

মঞ্জুয়ারার জীর্ণ কুঠিরে ইউএনও

দিনাজপুর প্রতিনিধি

স্বামী হারা এক বিধবা অভাবী মঞ্জুয়ারা বেগমের মাথার উপর টিনের ছাউনি আর পাঠখড়ির বেড়া দিয়ে ঘেরা ঘরে থাকা গরুটিই তার সম্বল। সেই জীর্ণ ঘরের এক পাশে থাকে বিধবা মঞ্জুয়ারা বেগম (৬৩) আর অন্য পাশে তার লাল রঙের একটি গরু। পাঁচ বছর আগে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান স্বামী মজিবর রহমান। ছেলের অভাবের সংসারের বোঝা না হয়ে নিজেই বাড়ির দরজার সঙ্গে কয়েক কাপ চা বিক্রি করে চলে তার সংসার। দীর্ঘদিনের তার আশা একটি বিধবা ভাতার কার্ড পাওয়ার। গতকাল দুপুরে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউপির হরেকৃষ্টপুর গ্রামে মঞ্জুয়ারা বেগমের সেই জীর্ণ কুঠিরে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও পরিমল কুমার সরকার। তিনি শুনেন মঞ্জুয়ারা বেগমের অভাবী সংসারের কথা। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিধবা ভাতার একটি কার্ড তুলে দেন তার হাতে। কার্ড পেয়ে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে যান মঞ্জুয়ারা। এ সময় তার সঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. রাজুল ইসলাম ও স্থানীয় মুকুন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কার্ড পেয়ে চোখের কোণায় আনন্দের পানি নিয়ে মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘মোর মতো অভাগির বাড়িত আসে ভাতার কার্ড দিছেন আপনেরা। দেশের গজবত মোর খোঁজ থুইচেন, হাত তুলে শেখের বেটির জন্য দোয়া করুম।’ এসময় বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিধবা ভাতার কার্ড দিতেই আমি তার বাসায় যাই। কিন্ত তিনি যে ভাবে থাকেন তা সত্যিই কষ্টকর।’

উল্লেখ্য, উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার ৬৪৬ জনকে বয়স্ক, ৬৮২ জনকে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা, ১১৬০ জন অসচ্ছল প্রতিবন্ধীকে ভাতার কার্ড প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ খবর