শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভরসা বাঁশের সাঁকো

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ভরসা বাঁশের সাঁকো

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলার আট গ্রামের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসা বাঁশের সাঁকো। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে আশ্বাসে বছরের পর বছর পার হয়েছে। এভাবে প্রায় চার দশক অতিবাহিত হলেও সেই বাঁশের সাঁকোই রয়ে গেছে। নির্বাচন এলে নেতা আর কর্মীদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটে। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর সাক্ষাৎ মেলে না। তাই চিরিরবন্দরের নশরতপুর-আলোকডিহি গ্রামের মাঝামাঝি ইছামতি নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণ এখনো ফাইলবন্দী। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউপি কার্যালয়ের পূর্ব-উত্তর কোণে নশরতপুর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ইছামতি নদীতে একটি সেতু নির্মাণের অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। শেষ যে কবে হবে। তা কেউ জানেন না। চিরিরবন্দর-খানসামা উপজেলার ৮টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি সেতু নির্মাণের। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চ মহলে বার বার ধরনা দিয়ে আশ্বাস মিললেও সেতু তৈরি করার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সেতু না থাকায় যাতায়াত, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেওয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। বাঁশের সাঁকোই অত্রাঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা। তাদের প্রায় দুই মাইল পথ ঘুরে আলোকডিহি হয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, চকগোবিন্দ, আলোকডিহি, ফতেজংপুর, উত্তর পলাশবাড়ী, খানসামা উপজেলার দুবলিয়া, গোয়ালডিহি, লালদিঘী, নীলফামারীর বড়ুয়াসহ ৮টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের যাতায়াতের একমাত্র পথ এ বাঁশের সাঁকো। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে আজও সেতু নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ফলে কৃষি সমৃদ্ধ এই এলাকায় আজও তেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। অথচ এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। স্থানীয় নশরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ নুর ইসলাম শাহ্ নুরু জানান, একটি সেতুই হতে পারে অত্র এলাকার দুর্ভোগ উন্নয়নের মাইলফলক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর