শনিবার, ৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নেত্রকোনায় সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো

আলপনা বেগম, নেত্রকোনা

নেত্রকোনায় সেতুতে উঠতে বাঁশের সাঁকো

নির্মাণের ১৭ বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় জনসাধারণ সেতুতে ওঠার জন্যই নেত্রকোনার কলমাকান্দায় তৈরি হয় বাঁশের সাঁকো। সীমান্তঘেঁষা স্থানীয়রা চলাচল করতে অবশেষে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এমন ব্যবস্থা তৈরি করেন। জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মহিম খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগসড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে এভাবেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুটি পারাপার হচ্ছেন প্রায় ১০টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দশটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০০৪ সালে মহিম খালের ওপর ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়। তবে সেতুটির এক পাশে সংযোগসড়ক না থাকায় সেতুটি কাজে আসছে না। সেতুটি পার হয়ে গ্রামের মানুষ উপজেলা সদর, হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ও হাট বাজারে যাতায়াত করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংযোগসড়কের জায়গায় সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে লোকজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা হৃদয় আহমেদ, হাস্য ঘাগ্রাসহ আরও অনেকেই বলেন, এই সেতু দিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত ও যানবাহনে পণ্য পরিবহন করেন। সেতুটির সংযোগসড়ক ভেঙে যাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে ধান, চাল ও কৃষিপণ্য যানবাহনে পরিবহন করা যাচ্ছে না। অসুস্থ ব্যক্তি ও রোগীদের এই সাঁকো পার হয়ে হাসপাতালে যেতে কষ্ট হয়। স্থানীয় নলছাপ্রা উচ্চবিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক কুপোতী ঘাগ্রা বলেন, স্কুল খোলা থাকাকালীন সময়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পার হয়ে বিদ্যালয়ে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসত। সংযোগসড়ক করে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন, নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ বাবুল। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেতুর সংযোগসড়কটি করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর