নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার চরভরট গ্রামে সেতু ও সংযোগ সড়ক ভেঙে ভোগান্তিতে পড়েছেন ১২ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। পরে চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন এলাকাবাসী। এখন সেটির বেহালও অবস্থা। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর নির্মিত সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় সেতুটি মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা জিয়া মিয়া জানান, ২০১৭ সালে বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়ে ভেঙে যায়। চার বছর পার হলেও সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। বর্ষার সময় ওই এলাকার মানুষ দুই কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে চলাচল করে থাকেন। এবার এলাকাবাসীর সাহায্য সহযোগিতায় কিছু বালু ফেলা হয় এবং নির্মাণ করা হয় বাঁশের সাঁকো। স্থানীয় ডাউয়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান খোকন বলেন, সেতুটি হেলে ভেঙে যাওয়ার চার বছর হয়েছে। জরুরি মেরামত করা প্রয়োজন। আমি চার বছর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রায়ই বলছি সেতুটি মেরামতের জন্য। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।