মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দেওভোগ দক্ষিণপাড়া এলাকার ক্লু-লেস হযরত আলী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইল। হত্যাকান্ডে জড়িত হযরত আলীর নাতি আসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল এ তথ্য প্রকাশ করেছে পিবিআই। পিবিআই জানিয়েছে, জায়গা-জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাপ-ছেলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আর এ কারণেই এই হত্যাকান্ড। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন জানান, ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হযরত আলী ও তার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর এবং নাতি আসিফ কুমুল্লির বিলে নিজেদের জায়গায় পানি সেচে মাছ ধরতে যায়। সেখান থেকেই নিখোঁজ হন হযরত আলী। পরে ২০২১ সালের ৩ মার্চ সকালে বাদীর চাচাতো ভাই মোস্তফা ঘটনাস্থলের পাশে ইরি খেতে সার দিতে গিয়ে দুর্গন্ধ পায়।

পরে সে তার খেতের পাশে পুকুরে কচুরিপানার মধ্যে একটি লাশ দেখতে পায়। এ সময় তার ডাকচিৎকারে আশপাশের  লোকজন এগিয়ে আসে। পরে বাদী মো. সুজন মোল্লা তার পিতার লাশ শনাক্ত করে। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিনের দিকনির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার আশরাফুল কবির ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের  দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি এলাকা থেকে মো. আসিফকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া আসিফ জানায়, হযরত আলী, সে ও তার মামা জাহাঙ্গীর মোল্লা ঘটনার রাতে মাছ ধরতে যায়। পরে জাহাঙ্গীর পেছন থেকে তার বাবা হযরত আলীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ সময় আসিফকে তার মামা জাহাঙ্গীর হত্যার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং লাশ গুম করার জন্য সহযোগিতা করতে বলে। লাশ গুম করতে যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তাকেও হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয় জাহাঙ্গীর। পরে আসিফ ও তার মামা হযরত আলীর লাশ পুকুরের এক পাশে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে এবং রক্ত পানি ও কাদা দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখে। পরে তারা বাড়ি চলে যায়। পিবিআই আরও জানায়, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের বড় ছেলে আসামি জাহাঙ্গীর মোল্লা কারাগারে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর