নরসিংদীর বেলাবতে নিখোঁজের আট দিন পর চার বছরের এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের মেরাতলীকান্দা গ্রামের একটি ঝোপ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিশু সোহানা (৪) মেরাতলীকান্দা গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে।
সে নানা মাসুদ মিয়ার বাড়িতে থাকত। তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার টেঙ্গাপাড়া গ্রামে। সে জন্মের পর থেকেই নানার বাড়ি বেলাবতে থাকত। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর শিশু সোহানা নিখোঁজ হয়। তারপর একাধিক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ির পাশে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে একটি ঝোপের কাঠে চোখ উপরানো অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। লাশের কিছু দূরেই শিশুটির হাফপ্যান্ট পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে শিশুটির পরিবারের দাবি তাকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। নিহত শিশুটির নানা মাসুদ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার দুপুরে আমার নাতি নিখোঁজ হয়। থানায় গিয়েছি জিডি করতে। কিন্তু পুলিশ বলে আড়িয়াল খাঁ নদে খোঁজ করতে। তাই পরে আর জিডি করা হয়নি। আমার ধারণা শিশু নাতনিকে কেউ ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। নিহত শিশুটির বাবা সোহেল মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে বাসাভাড়া করে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমার সন্তান সোহানা তার নানা নানির কাছেই থাকে। আমার নিষ্পাপ শিশুটিকে নির্যাতন করে যারাই হত্যা করেছে, আমি তার ফাঁসি চাই। বেলাব থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এলাকাবাসী বলেছেন, যেদিন শিশুটি নিখোঁজ হয় সেদিন তার পরনে কাপড় ছিল না। তাই ধর্ষণের বিষয়টি কতটুকু সত্য তা তদন্ত করে দেখছি। একই সঙ্গে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
