মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাগুরায় শিক্ষক শূন্যতায় পাঠদানে অনিশ্চয়তা

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় শিক্ষক শূন্যতায় পাঠদানে অনিশ্চয়তা

ডেপুটেশনে থাকা সব শিক্ষক একযোগে বিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সংকটের মুখে পড়েছে মাগুরা প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়টি। বছরের শুরুতেই এ ধরনের পরিস্থিতিতে সন্তানের পাঠদান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। এমনকি বই বিতরণের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে জটিলতা। অনেক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের গতকাল বই না নিয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে ডেপুটেশনে থাকা শিক্ষকদের ডেপুটেশন বাতিল করে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ডেপুটেশনে থাকা শিক্ষকের সংখ্যা কম থাকায় তেমন একটি সমস্যা তৈরি হয়নি। কিন্তু মাগুরা প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পিটিআইয়ের আওতায় থাকা পরীক্ষণ নামের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষিকাই ডেপুটেশনে নিযুক্ত থাকায় সমস্যায় পড়েন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষার কারণে ১ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত তাদেরকে সেখানে বহাল রাখে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে গতকাল পিটিআইয়ের সুপার তাদের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে পূর্ববর্তী নিজ নিজ স্কুলে ফেরত পাঠান। যে কারণে গোটা স্কুল শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সাল পর্যন্ত এসব পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে নির্ধারিত শিক্ষকদের দিয়ে পাঠদান করানো হতো। পরবর্তীতে ওইসব শিক্ষকরা ইনস্ট্র্রাক্টর পদে পদোন্নতি হওয়ায় ডেপুটেশনে শিক্ষক নিযুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। দীর্ঘ এই কবছরে সারা দেশের এসব পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ফলে ডেপুটেশনের ভিত্তিতেই কার্যক্রম চলে আসছে। অন্যদিকে পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের জন্যে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে সারা দেশে একই সঙ্গে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ডেপুটেশনে নিয়োজিত সব শিক্ষককে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকালে মাগুরা পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সব অভিভাবকই সেখানে তাদের ছেলেমেয়েদের এনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। শ্রেণি কক্ষগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। সেখানকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আলফ হাসান দিয়া জানায়, রবিবার বই নিতে না পারায় সোমবার সে স্কুলে বই নিতে এসেছিল। কিন্তু শিক্ষকরা না থাকায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর