বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

জমির মাটি বিক্রি হারাচ্ছে উর্বরতা

নওগাঁ প্রতিনিধি

জমির মাটি বিক্রি হারাচ্ছে উর্বরতা

নওগাঁয় স্কেভেটর মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সরকারি আইন লঙ্ঘন করে নওগাঁয় কৃষি জমির মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়। ওপরের অংশের মাটি কাটায় জমির উর্বরতা শক্তি কমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে মাটি খনন করায় উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছে কৃষিবিভাগ। ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে বিক্রি করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়ার বিধানও রয়েছে। জেলা পরিবেশ অধিদফতর ও প্রশাসনের হিসাব মতে, নওগাঁর ১১ উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে ২০৮টি। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পেয়েছে মাত্র নয়টি। বাকি ১৯৯টি ভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। এরপরও এসব ভাটায় থেমে নেই ইট পোড়ানো। বছরের পর বছর কৃষকদের অসচেতনতার সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কিনে নেন। এরপর তারা সেই মাটি বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করেন। পত্নীতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, উপরিভাগের মাটি কেটে নেওয়ায় ওই জমিতে জৈব পদার্থ থাকছে না। ফলে কেঁচোসহ উপকারী পোকামাকড় নষ্ট হচ্ছে। এতে জমি দ্রুত উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৬৫ হাজার ৮৭৩ হেক্টর। মূলত আমন মৌসুমে ধান ওঠার পর থেকে মাটি কাটার হিড়িক পড়ে যায়। যেভাবে ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যাচ্ছে, এতে আস্তে আস্তে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দুই-তিন বছর ওই জমি থেকে ভালো ফলন আশা করা যায় না। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ভাটায় কৃষি জমির মাটি বিক্রি করা দন্ডনীয় অপরাধ।

সর্বশেষ খবর