করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় ফেনীর ছাগলনাইয়ার সীমান্ত হাট পুনরায় চালু হচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে হাটটি চালু হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাটটি পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, ফেনীর জায়লস্কর ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিষেক দাস, ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাস, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, মেয়র মোহাম্মদ মোস্তফা, বাংলাদেশ সীমান্ত অংশের ব্যবসায়ী নেতা নুরুল আফসার, আতাউর রহমান প্রমুখ। মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চে হাটটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় দুই দেশের ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ হাটটি ব্যবসার জন্য যেমন চাঙা ছিল, তেমনি পণ্য বেচাকেনার পাশাপাশি দুই বাংলার মিলনমেলা বসতো। হাটকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার দরিদ্র মানুষ গড়ে তুলছিলেন জীবন-জীবিকা।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এরই মধ্যে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে হাটের বিভিন্ন অংশ। তবে পুনরায় হাটটি চালুর খবরে খুশি হাটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, সীমান্ত হাটটি দ্রুত চালু করার ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দেশের সরকারের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আশা করি, চলতি মাসের শেষের দিকে চালু করা যাবে। ছাগলনাইয়া সীমান্ত হাট সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, বিশ্বে করোনা মহামারির কারণে দুই দেশের হাটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আবার চালু হলে তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠবে। সীমান্ত হাট সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, এ হাটটি দুই দেশের মানুষের মধ্যে এক মিলন মেলায় পরিণত হতো। ভারত-বাংলাদেশ উভয় দেশের মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাবেচা করতে পারতেন। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভাব-অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রসঙ্গত; ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং ভারতের শ্রীনগরে সীমান্ত হাটটি চালু হয়। পরে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালের ৩ মার্চ বন্ধ হয়ে যায়। হাটটি আবার চালু করার বিষয়ে দুই দেশ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
