বগুড়ায় মরিচের ঘাঁটি হলেও সেখানে নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। গত কয়েক দিন হলো হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুকনো মরিচের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। পাশাপাশি দেশি শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৬০ টাকা। গতকাল সকালে বগুড়ার রাজা বাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি বাজার ও খান্দার বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কাঁচা ও শুকনো মরিচের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক বেশি। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১০০ টাকা কেজি। বর্তমানে বেড়ে তা হয়েছে ১২০-১৩০ টাকা কেজি। আর গত কয়েক দিন আগে শুকনো মরিচ ছিল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৬০ টাকা প্রতি কেজি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কম হওয়ায় এবং দেশি মরিচের সংকটের কারণে দাম আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য মসলার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, হঠাৎ করে বাজারে কাঁচা মরিচ ও শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চড়া দামে মরিচ বিক্রি করছেন বলে ক্রেতাদের দাবি। রমজান আসার আগেই এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। জানা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা। আর শুকনো দেশীয় নতুন মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৬০ টাকা প্রতি কেজি। তবে শুকনো ভারতীয় মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকা কেজি। এর আগে ভারতীয় মরিচের দাম ছিল ৪৮০ টাকা কেজি, বর্তমানে এ মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকা কমেছে। কিন্তু গত বছর শুকনো মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০-৩৫০ টাকা কেজি। এ ছাড়া পুরনো শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪৫০ টাকা প্রতি কেজি।
রাজা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা আবদুল মজিদ জানান, মরিচের আমদানি কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। আমদানি কম হলে দাম আরও বাড়তে পারে। আর কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুকনো মরিচের দামও বেড়েছে। কারণ কৃষকরা বর্তমান বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ভালো পাওয়ায় জমি থেকে বিক্রি করছেন। শহরের চেলোপাড়া থেকে বাজার করতে আসা মাহমুদ আলী জানান, রমজান মাস আসার আগেই বাজারে মরিচসহ অন্যান্য মসলার দাম বেড়ে গেছে। তবে বাজারে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচ ও শুকনো মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে পাল্লা দিয়ে যদি সব জিনিসের দাম বেড়ে যায় তাহলে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। মরিচ কিনতে এসেছিলাম দাম বেশি হওয়ার কারণে অল্প কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
