জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, দেশে বেকারত্ব কমে গেছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বেকারত্ব দূরীকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি গতকাল সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউপির মাসিমপুর গ্রামে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সহযোগিতায় আলোর পথে জাগো যুব সংগঠনের আয়োজনে মধু উৎসব ও মৌ পালন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেরাই স্বাবলম্বী হও প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তিটিকে লালন করতে হবে। উদ্যোক্তারা নিজেরাই স্বাবলম্বী হচ্ছেন আর দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দিনাজপুরে লিচু বাগানগুলো থেকে প্রতি বছর ৫০০ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন করতে পারি। এ মধু বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। প্রতি বছর দিনাজপুর জেলায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্ভাবনাময় আয় হওয়া সম্ভব হবে।
এ ছাড়াও ২ লাখ বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর এতে বেকারত্ম দূর হবে। মধু উৎপাদন জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রপ্তানি যোগ্য হিসেবে স¦ীকৃতি লাভ করতে পারব আমরা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই মধুর উৎপাদন ও মধুর চাষ এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে জাতীয় অর্থনীতিতে আমরা তাদের এই উপার্জনকে কাজে লাগাতে পারব। প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই মধু উৎপাদন।
বছরে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্ভাবনাময় আয় নিয়ে প্রথমবারের মতো দিনাজপুরে মধু উৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার দিনাজপুর সদরের মাসিমপুর গ্রামে এই মধু উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম। আলোচনা সভা শেষে ৮০ জন মৌ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন তিনি। এ ছাড়া মৌ খামারের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। দিনাজপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক খন্দকার মোহাম্মদ রওনাকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমদাদ সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মামুন হাসান চৌধুরী, উত্তরবঙ্গ মৌচাষি সমিতির সহসভাপতি আবদুর রশিদ, বিসিকের মৌ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমীন, আলোর পথে জাগো যুব সংগঠন সভাপতি মোসাদ্দেক হেসেন প্রমুখ।