রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণে ধীরগতি

মাটি ভরাটই শেষ হয়নি তিন বছরে

মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণে ধীরগতি

চলছে গ্রিড উপকেন্দ্রের মাটি ভরাট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ধীরগতিতে চলছে মৌলভীবাজারে বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণকাজ। জেলা শহর ও শহরতলীর বিদ্যুৎ বিপর্যয় কমাতে এই গ্রিড উপকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। তিন বছর ধরে মাটি ভরাটের কাজই শেষ হয়নি। ভরাটের পর শুরু হবে অবকাঠামো ও কন্ট্রোল রুম নির্মাণকাজ। এরপর বসানো হবে ট্রান্সফরমার। এসব কাজ শেষ হলে এই উপকেন্দ্র পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তখন এখান থেকে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। উপকেন্দ্র নির্মাণকাজ ধীর গতিতে হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে বিপণন কোম্পানিগুলো। এ উপকেন্দ্র নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় কাক্সিক্ষত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা দিন গুনছি কবে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। যত দ্রুত এই উপকেন্দ্রের কাজ শেষ হবে আমরা তত দ্রুত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে পারব। এ ছাড়া এখান থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোনে। মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুল বাহার বলেন, খুব ধীর গতিতে কাজ হচ্ছে। তিন বছর ধরে এখানে মাটি ভরাটের কাজ হচ্ছে। অবকাঠামো, কন্ট্রোল রুম নির্মাণ ও ট্রান্সফরমার বসাতে আরও আড়াই থেকে তিন বছর লেগে যাবে। জানা যায়, জেলার বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনে ‘মৌলভীবাজার ১৩২/৩৩ কেভি’ গ্রিড উপকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালে সদর উপজেলার রায়শ্রীতে অধিগ্রহণ করা হয় পাঁচ একর জমি। ২০২৫ সালের জুন মাসে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। সরেজমিন দেখা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার রায়শ্রীতে গ্রিড নির্মাণের অধিগ্রহণ করা জায়গায় বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। দক্ষিণ দিকের বেশির ভাগ জায়গা ভরাট হয়ে গেছে। পিজিসিবির উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম এ বাছিত বলেন, ‘আমি ২০২১ সালের এই প্রোজেক্টে যোগ দিয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সাইটে এসেছি। এখন বালু ভরাটের কাজ চলছে।’ পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেংথেনিং প্রকল্পের (জিটুজি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী চিরঞ্জীব দেওয়ানজী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে নকশার অনুমোদন কাজ চলছে। মাটি ভরাট শেষ হলে উপকেন্দ্রে নির্মাণের অন্য কাজ শুরু হবে।  প্রকল্প পরিচালক শফিউল্লাহ বলেন, আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর