রবিবার, ৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

দখলে ছোট হচ্ছে নদী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

দখলে ছোট হচ্ছে নদী

নদীর জমি দখল করে চলছে স্থাপনা নির্মাণ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি শুকিয়ে জেগে উঠছে চর। জেগে ওঠা চর দখল করে অর্থের বিনিময়ে হাতবদলে গড়ে তোলা হচ্ছে বসতভিটা, কল-কারখানাসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এতে দিন দিন জমি দখল হওয়ায় ছোট হচ্ছে নদীর সীমানা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দাবি নদী রক্ষায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের পাশাপাশি খননেরও কাজ চলছে। সরেজমিন দেখা যায়, জেলার প্রতিটি নদী এখন মৃতপ্রায়। পানি না থাকায় পরিণত হচ্ছে মরা খালে। এ সুযোগে এক শ্রেণির মানুষ জেগে ওঠা চর দখল করে অর্থ হাতিয়ে হাতবদল করছে। জেলার টাংগন, শুক, সেনুয়াসহ ১৩টি নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ দখলদারদের মাধ্যমে দিনের পর দিন গড়ে তোলা হচ্ছে বসতভিটাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দখল আর সময়-অসময়ে অপরিকল্পিত খননের কারণে কোনোভাবেই প্রাণ ফিরছে না এসব নদীর। চর জেগে ওঠায় দিন দিন গতিপথ বন্ধের পাশাপাশি ছোট হয়ে আসছে নদীগুলোর সীমানা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠছেন দখলদাররা। বছরের পর বছর এমন অবস্থা চলতে থাকায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি বেকার হয়ে পড়ছেন স্থানীয় জেলেরা।

এলাকাবাসী জানায়, প্রতিনিয়ত নদীর জমি দখল হতে থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেন না পাউবোর কর্মকর্তারা। ফলে দিন দিন নদীর সীমানা ছোট হয়ে পরিণত হচ্ছে মরা খালে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদী অচিরেই নিশ্চিহ্ন হবে। ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ময়দুল ইসলাম রনি বলেন, নদী রক্ষায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি খননের কাজও চলছে। জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ১৩টি নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। আর ৪৪৬ জনের দখল করা জমির পরিমাণ ৬ দশমিক ৩৭৫ একর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর