রাজনৈতিক ব্যানার আর ফেস্টুনে ঢাকা পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাদ যায়নি জাতীয় বীরের স্মৃতি চত্বরও। রেহাই পায়নি পুলিশ বক্স থেকে শুরু করে সড়কের সাংকেতিক চিহ্ন। সর্বত্রই টানানো হয়েছে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বাহারি ব্যানার আর ফেস্টুন। এসব ব্যানার টানানো থাকায় নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন হচ্ছে দৃষ্টি দূষণ, তেমনি চালকদের পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ বলছে, দ্রুতই ব্যানার অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়, জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন গোলচত্বর ও কুট্টাপাড়া মোড় এলাকাটা যেন এক ব্যানার-ফেস্টুনের নগরী। দিবসকে উপলক্ষ করে রাজনৈতিক প্রচারণার ব্যানার ফেস্টুনে সর্বত্র সয়লাব। জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দস মাখনের স্মরণে তৈরি করা স্মৃতি চত্বর পাদদেশে ব্যানার-ফেস্টুনে গিঞ্জির অবস্থা। গোলচত্বরের একপাশ থেকে অন্য পাশ দেখার কোনো সুযোগ নেই। সারিবদ্ধভাবে টানানো রয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক দানিস মিয়া, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা তরুণ দেসহ স্থানীয় সরকারদলীয় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের ব্যানার আর ফেস্টুন। শুধু তাই নয়, বাদ যায়নি ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে শুরু করে সাংকেতিক চিহ্নগুলোও। নির্বিচারে টানানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন। ঈদ শুভেচ্ছা, শোক দিবস আর পদপ্রার্থীদের ব্যানারে ঢাকা পড়েছে মহাসড়কের সাংকেতিক চিহ্ন ও গতিসীমার চিহ্নগুলো। এতে যানবাহন চালকদের পড়তে হচ্ছে সমস্যায়। সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহন চালকদের দুর্ভোগ বাড়ে সীমাহীন। সাংকেতিক চিহ্ন দেখতে না পাওয়ায় ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের এই গোলচত্বর এখন অনেকটাই গোলক ধাঁধায় পরিণত হয়েছে। প্রায়শ চালকরা ভ্রান্ত পথে গাড়ি নিয়ে ছুটছেন। বাসচালক শফিকুল ইসলাম ও আবদুল আহাদ জানান, মহাসড়কের গোলচত্বরে ব্যানারে আর ফেস্টুনে ঢাকা পড়েছে। সাংকেতিক চিহ্নগুলোও রেহাই পায়নি। গাড়ি চালাতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। পথচারী আশীষ কুমার ও শাহীন আলম জানান, ঈদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখনো ঈদের শুভেচ্ছা ঝুলছে। সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুনেই সবকিছু ঢাকা পড়ে আছে। কোনো সাংকেতিক চিহ্নই দেখা যায় না। সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হবে।
শিরোনাম
- শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
- যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
- যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
- রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
- সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
- খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
- উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
- ‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
- ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ
- ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
- এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত
- পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
- পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ
- প্রথম আমেরিকান পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
ব্যানার ফেস্টুনে সয়লাব ঢাকা সিলেট ও কুমিল্লা মহাসড়ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম