ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ঘটানো হয়েছে ককটেল বিস্ফোরণ। এ সময় প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়।
জানা যায়, কসবার শিমরাইল সাতপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আওয়াল এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামালের মধ্যে বিরোধ চলছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মোস্তফা কামালের লোকজন আওয়াল সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নানের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষ বিপুল সংখ্যক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। শতাধিক লোক আহত হন। কসবা থানার ওসি আবদুল কাদের বলেন- পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে নাসিরনগরে জমি দখল করে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় থানার ওসি, পুলিশ কনস্টেবলসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানায়, কাউসার সমর্থকরা এরশাদের বাড়ির তিনটি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালায়।