চাঁপাইনবাবগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে জেলায় পাঁচটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে চুরি। জেলাজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। সুশীল সমাজ বলছে, সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে বেড়েছে খুনাখুনি। আর পুলিশের তৎপরতার অভাবে বাড়ছে চুরি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, পাঁচটি খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিছু আসামি ধরে পাঠানো হয়েছে জেলহাজতে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গরু চুরির বিষয়ে সদর থানার ওসি জানান, চুরি রোধে কাজ করছে পুুলিশ। চোরাই গরু দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে। জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে মাসুদ রানা খুন হন ৮ জুন। শিশুদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে ৯ জুন খুন হন গোমস্তাপুরের সুবইল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুল বাসেদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার লাহাপাড়ায় জমি বিরোধ কেন্দ্র করে ১০ জুন ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান আবদুর রশিদ। ১২ জুন প্রতিবেশীর হাতে নিহত হন শিবগঞ্জের বাবুপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। ১৩ জুন ভাতিজার হাতে খুন হন একই উপজেলার উপরটোলা গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে নজরুল ইসলাম। সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খুন সবাইকে চিন্তায় ফেলেছে। নিজেদের নিরাপত্তাহীন মনে করছেন জেলার অনেকে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, নীতি-নৈতিকতার অবক্ষয় হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিট পুলিশিং না থাকায় অপরাধপ্রবণতা বাড়তে পারে। পুলিশের তৎপরতার অভাবে সম্প্রতি সদর উপজেলার ঝিলিম, হোসনডাইং, গোবরাতল, বালিয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি হচ্ছে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গরু উদ্ধারে পুলিশ আশ্বাসের পর আশ্বাস দিলেও ইতিবাচক ফল না পেয়ে হতাশ তারা।