নরসিংদীর পলাশে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) গতকাল মারা গেছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের বাবা আবদুর রহিম ভূঁইয়া। ইসমাঈল হোসেনের বাড়ি পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর গ্রামে।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বলেন, ‘ঈসমাইল হোসেন আমাদের কর্মী ছিলেন। জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজনের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জুয়েলের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়, এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানানোর পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রবিবার পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএডিসির মোড়ে উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় রবিবার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে নয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন। পরে জুয়েলের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।