বগুড়ার শেরপুরে বাল্যবিয়ে করতে গিয়ে বরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে কনে ও বরপক্ষকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের হুসনাবাদ পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কারাগারে যাওয়া রাকিবুল হাসান (২০) একই গ্রামের মহারম আলীর ছেলে।
জানা যায়, রাকিবুল হাসানের সঙ্গে একই উপজেলার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর (১২) বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও আশিক খান তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে কনে ও বরপক্ষকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
ইউএনও বলেন, ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি ও জনসচেতনতা কার্যক্রম চলছে। শিশুটির পড়ালেখা যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’