দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর ১২ আগস্ট ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। চাল আমদানিতে শুল্ক ৬৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করায় এ স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ২ থেকে ৪ টাকা কমেছে বিভিন্ন প্রকার চালের দাম। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে স্বর্ণা, সম্পা কাটারি, রত্নাসহ মিনিকেট জাতের চাল প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে সম্পা কাটারি জাতের চাল কেজি ২ টাকা কমে ৬৮, স্বর্ণা ২ টাকা কমে ৫৪ এবং ২৮ জাতের চাল ৪ টাকা কমে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ২৯ জাতের চাল আগের ৫৪ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারকরা বলেন, আমদানি অব্যাহত থাকলে চালের দাম আরও কমে আসবে। হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জামান বাঁধন বলেন, আমদানীকৃত চাল দ্রুত খালাসপূর্বক সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এদিকে গতকাল বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এতে চালের দাম কমে আসবে দাবি আমদানিকারকদের। তবে শুল্ক না কমানোয় খুব বেশি চাল আমদানি হবে না বলেও জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভারতীয় ৯টি ট্রাকে ৩১৫ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজী মূসা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আবদুস সামাদ জানান, মঙ্গলবার থেকে ভারতীয় ট্রাকগুলো চাল নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষায় ছিল। ট্রাকগুলো বৃহস্পতিবার বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেট্রাপোল বন্দরে আরও চালবোঝাই ট্রাক বেনাপোলে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, চার মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে আবার ভারতীয় চাল আমদানি শুরু হলো।