পাবনার ফরিদপুর উপজেলার এনএস ক্লাবের আয়োজিত লটারিতে সর্বস্বান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। লটারির লোভনীয় প্রচারে আকৃষ্ট হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার টিকিট কিনছে সব বয়সি লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার থানাপাড়া খেলার মাঠে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই লটারি-২০২৫ আয়োজন করা হয়। এরপর থেকেই লটারি বিক্রি চলছে। আজ লটারি ড্র হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিটি লটারি টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। পুরস্কার হিসেবে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, সেলাই মেশিনসহ ১৫১টি আকর্ষণীয় পণ্য। এসব পণ্য পাওয়ার আশায় সাধারণ মানুষ টিকিট কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। অনেকেই ধারদেনা করেও কিনছেন টিকিট।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, এ ধরনের অনুমোদনবিহীন লটারি শুধু মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনে না বরং এটি জুয়া ও প্রতারণার এক রূপ, যা সমাজে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও আর্থিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই নামে-বেনামে লটারির আয়োজন করা হয়। প্রশাসন এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না। মানুষ টাকাপয়সা খরচ করে, শেষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে লটারির আয়োজক এনএস ক্লাবের কমিটির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, ক্লাবের উন্নতির স্বার্থে এমন আয়োজন করা হয়। আসলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান তো দান-খয়রাত বা অনুদানের টাকায় চলে। টাকা কেউ দিতে চায় না, তাই বাধ্য হয়েই এ উদ্যোগ নেওয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন, লটারির বিষয়টি তদন্তের জন্য ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বলা হয়েছে। থানার ওসি সাকিউল আজম জানান, পূজার আগে আয়োজকরা অনুমতি চেয়েছিল, আমরা দেইনি। যদি তারা অবৈধভাবে লটারি পরিচালনা করে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।