নীলফামারীর ডোমারে শালকি নদীর ওপর সেতু মাঝখানে পিলারসহ একাংশ দেবে গেছে। ঝুঁকিপুর্ণ এ সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে স্থানীয়দের। ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় এর সামনে বাঁশে লাল কাপড় টাঙিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ পথ দিয়ে চার ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এ ছাড়া এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনের একমাত্র পথ এটি। স্থানীয়রা জানান, গত বন্যায় ডোমার পৌরসভার চান্দিনাপাড়া গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডে শালকি নদীর ওপর নির্মিত পুরোনো সেতুর মাঝখানের পিলারসহ একাংশ দেবে যায়। এর পর থেকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের। এজন্য সেতুর সামনে বাঁশে লাল কাপড় টাঙিয়ে দিয়েছে তারা। যাতে ভারী যানবাহন সেখান দিয়ে চলাচল না করে। ডোমার পৌরসভাসহ চিলাহাটি, আমবাড়ি, গোমনাতি ও বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনে একমাত্র পথ এটি। ওই এলাকার চাল ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বলেন, ‘আমি ধান ও চালের ব্যবসা করি। বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল আনতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে ১০ মিনিটের পথ ঘুরে আসতে লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এতে সময় এবং অর্থের অপচয় হয়।’ একই এলাকার জাবেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে এ সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে ডোমার উপজেলার চিলাহাটি, আমবাড়ি ও গোমনাতি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। সেতুটির নিচে গর্ত হয়ে প্রায় ৮ ফুট দেবে গেছে।’ দ্রুত সংস্কার অথবা পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় রিফাত হাসান বলেন, ‘সেতুটি ১৯৮৪ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। গত বন্যায় দেবে যায়। সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা চলাচল করে। অনেক সময় ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটে।’ চান্দিনাপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন,‘সেতুটি পুরাতন হওয়ায় এবং দেবে যাওয়ায় আমরা সতর্কতার জন্য বাঁশে লাল কাপড় টাঙিয়ে রেখেছি; যাতে ভারী যানবাহন চলাচল না করে।’ ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, ‘উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতুর নতুন ডিপিপি দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় ডোমারের ২২টি সেতুর চাহিদা পাঠিয়েছি। এর মধ্যে এটিও আছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।’