চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত চটের বস্তা না পাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের অটো রাইস মিলগুলোতে চাল উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে জেলা অটো চাল কল মালিক গ্রুপ। গত সোমবার থেকে জেলার অটোমিলসহ প্রায় আড়াই শতাধিক বিভিন্ন রাইস মিলে চাল উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। নবাব অটো রাইস অ্যান্ড ফিড মিলস (প্রাইভেট) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, 'ব্যবসায়ীরা চটের বস্তায় প্যাকেজিং করতে প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু ৩৬০ গ্রাম ওজনের মানসম্মত চটের বস্তার প্রয়োজন হলেও বিজেএমসি’র ডিলার ব্যবসায়ীদের বাধ্যতামূলক ৭ শ’ গ্রাম ওজনের ৮০ ভাগ ও ৩৬০ গ্রাম ওজনের ২০ভাগ ছাড়া মানসম্মত বস্তা সরবরাহ দিচ্ছে না। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ৭ শ’ গ্রাম ওজনের বস্তা অত্যন্ত নিম্নমানের ও মোটা হওয়ার কারণে ওই বস্তা সেলাই করা সম্ভব হচ্ছে না । অন্যদিকে ৭ শ’ গ্রাম ওজনের বস্তার দামও বেশি। ফলে চালের উত্পাদন খরচ কেজি প্রতি একটাকা হারে বেড়ে যাবে। পাশাপাশি প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন মিলগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত চটের বস্তা সরবরাহ না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই মিল মালিকরা উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। জেলা অটো চাল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি ও এরফান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. এরফান আলী অভিযোগ করে বলেন, 'বিজেএমসি’র ডিলার যে চটের বস্তা সরবরাহ করছে সেগুলোর বুনন মানসম্মত নয়। তাই ওই নিম্নমানের বস্তায় চাল প্যাকেজিং করলে বস্তার ফুটো দিয়ে চাল বের হয়ে পড়বে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ ব্যাপারে বিজেএমসি’র চাঁপাইনবাবগঞ্জের বস্তার ডিলার হোয়াইট অ্যান্ড তোষার স্বত্ত্বাধিকারী ব্যারিস্টার সামিউল ইসলাম লিটনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'তাদের কাছে বস্তার কোনো সংকট নেই ও পর্যাপ্ত পরিমাণ মানসম্মত বস্তা মজুদ রয়েছে। মিল মালিকরা চটের বস্তা ব্যবহার করবে না বলে বিভিন্ন অজুহাত তুলছেন।
এদিকে জেলার রাইস মিলগুলো ৩ দিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন চাল উত্পাদন হচ্ছে না এবং দেশের বিভিন্ন বাজারে চাল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে এভাবে দীর্ঘ দিন মিলগুলোতে চাল উৎপাদন বন্ধ থাকলে দেশের বাজারগুলোতে চাল সংকটসহ মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ