উখিয়ার ১২ টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দেশে আসছে ইয়াবা। মিয়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা উখিয়ার কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়া এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন সীমান্তের ঘুমধুম, রেজু আমতলী, গর্জনবনিয়া, ফাত্রাঝিরি, বরইতলী, বৈদ্যছড়া এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ সীমান্ত এলাকা দিয়ে স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে অদ্যবধি তেমন কোন মাদক পাচার লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি উখিয়ার হলদিয়া ইউনিয়নের কিছু যুবক সীমান্ত এলাকার কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাধ্যমে এ ব্যবসা শুরু করেছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার লোকজনও জানেন কারা এর সঙ্গে জড়িত, কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।
এদিকে রেজু ফাত্রাঝিরি, রেজু গর্জনবনিয়া, রেজু আমতলী, রেজু মনজয়পাড়া বিজিবি সদস্যরা চলতি বছরে কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে।
মরিচ্যা বিজিবি'র সদস্যরা গত মাসে সীমান্তের ঘুমধুম বরইতলী এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আটক করে। এছাড়াও গত নভেম্বর মাসে রেজু ফাত্রাঝিরি বিজিবি'র সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করলে আদিবাসী মাদক পাচারকারীরা সংঘবদ্ধভাবে বিজিবি'র ওপর হামলা চালিয়ে মাদকগুলো নিয়ে যায়। পরে বিজিবির সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিজিবি দু'জন আদিবাসী মাদক পাচারকারীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সীমান্তের ওপার থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে গোপনে কক্সবাজার সহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী এবং সীমান্তে অবস্থানকারী বিজিবি'র সদস্যরা রাত-দিন অপেক্ষা করেও বড় ধরণের চালান আটক করতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, পাচারকারী চক্র শুধু মাদকদ্রব্য দেশে আনছে তা নয়, তারা বাংলাদেশ থেকে বাইরে পাচার করছে জীবন রক্ষাকারী মূল্যবান ওষুধ।
কক্সবাজার ১৭ বিজিবি'র উপ-অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, সীমান্তে যে কোন ধরনের মাদকপাচার রোধে বিজিবি তৎপর রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২১ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ