সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনকে সরকারি দলের প্রার্থীর সমর্থকরা মারধর ও তার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। নির্বাচন চলাকালীন বুধবার দুপুরে শহরের পিটিআই স্কুল কেন্দ্রে সরকারি দলের সমর্থকরা এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
বিএনপির প্রধান এজেন্ট অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন জানান, রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদিত গাড়ি নিয়ে শহরের পিটিআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পরিদর্শন যান। কেন্দ্রের গেটের কাছে কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেন সরকার দলের পোলিং এজেন্টরা তাদেরকে শুধু সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলদের ব্যালট পেপার দিচ্ছে। পরে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রিসাডিং অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়। তাদের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তার ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই নেতাদের শান্ত করলে তিনি কেন্দ্র থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠলেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় গাড়িটি ভাংচুর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার লক্ষণ কুমার দাস জানান, কয়েকজন ছেলে হঠাৎ কেন্দ্রে ঢুকে সিল মারছিল। এ ঘটনায় প্রায় ১০/১৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ অবৈধ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনদিন হয়নি ও হবে না-এটা আরো একবার প্রমাণিত হলো।
এদিকে, সরকার দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ভোটারদের কাছ থেকে মেয়র পদে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র প্রার্থী ভিপি আব্দুর রহিম নির্বাচন বর্জন করেছেন। বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ভিপি আব্দুর রহিম মোবাইলে জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হালিমুল হক মিরু ও তার সমর্থিতরা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রই দখল করে নিয়েছে। কাউন্সিলরদের ব্যালট ভোটারদের দিয়ে মেয়র পদের ব্যালটটি তার সমর্থিতরা ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্স ফেলছে। যে কারণে তিনি নির্বাচন বর্জন করেছেন। পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ভিপি আব্দুর রহিমকে এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বর্জনের বিষয়টি তার জানা নেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা