নেত্রকোনায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, আর্ন্তজাতিক আদালতের প্রথম ধাপে নেত্রকোনার দুইজনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সুযোগ একটা আছে আপিল করার। তারা যদি আপিল করেন তাহলে বিধি মোতাবেক উচ্চতর আদালতে যাবে। আর তারা আপিল না করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র। অন্যান্য ক্ষেত্রেও যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের আদালতের রায় অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এই সরকারও সেই ধারা অব্যাহত রাখবে।
শনিবার সকালে নেত্রকোনার মোক্তারপাড়া এলাকায় সরকারী জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১০ বছরে ২০ বার লিখিতভাবে জাতির উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে বলেছেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা। আজকে ময়না পাখির মতো পাকিস্তানিদের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন। এটি ঘৃণ্য, নিন্দনীয়। অবশ্যই বাংলার মাটিতে তারও বিচার হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু নেত্রকোনার নয়, সারা বাংলাদেশের অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বাসস্থানের ব্যবস্থা এ সরকার করবে।
জেলা কমান্ডার নুরুল আমীনে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা আওয়ামাীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেলা পরিষদ প্রশাসক মতিয়র রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ। আলোচনার শুরুতে শহীদদের প্রতি সন্মান জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা