নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার সীমান্ত বিরোধের জের ধরে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে বাধা এবং পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। আত্মরক্ষা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করেছে।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী উপজেলার ট্যাংকির বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাহিদুর রহমান, কনষ্টেবল সোহাগ, আলমগীর চৌকিদার (২৭), নূর নবী (২৮), আয়াজ (১৭) সহ ৭জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাতিয়ার বয়ারচর ইউনিয়নের জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজির ইউনিয়নের একদল উত্তেজিত জনতা ভোটার হতে আগ্রহীদের বিদ্যালয়ে আসতে বাধা দেয়। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা চার পুলিশ সদস্যসহ সাত জনকে পিটিয়ে জখম করে।
হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ জানান, রামগতির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য পিটিয়ে জখম করে এবং এক চৌকিদারকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রামগতির উত্তেজিত জনতা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ১৫/১৬ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর সুবর্ণচরের স্থানীয় সেন্টার বাজারে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে হামলা চালায় রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের উত্তেজিত জনতা ও সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে নিরাপত্তার অভাবে হাতিয়ার ওই এলাকার অন্তত ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হালনাগাদ ভোটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ ফেব্রুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন