দুদকের উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী ও সহকারী পরিচালক শফিউল্লাহ এর নেতৃত্বে ওই অনুসন্ধান শুরু হয়।
দুদকের টিমটি প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে অবস্থিত নূর হোসেনের মালিকানাধীন হাজী বদরউদ্দিন মার্কেটটি পরিদর্শন করেন। পরে তারা শিমরাইল টেকপাড়ার নূর হোসনের বাড়ি, নয়াআটির রসুলবাগের নূর হোসেনের স্ত্রীর নামে করা বাড়ি, মুক্তিনগর কিসমত মার্কেট এলাকায় তার বড় ভাই নূর ছালামের বাড়ি, রসুলবাগ এলাকায় তার ছোট ভাই মিয়া মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের বাড়ি ও নূর হোসেনের মালিকাধীন পরিত্যক্তভাবে পড়ে থাকা এবিএস পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন সম্পত্তি পরিদর্শন করেন। এসময় নূর হোসেনের ছোট ভাই নুরুজ্জামান জজের নামে করা ৬ তলা বাড়িতে দুদকের টিমকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দুদকের টিম দেখে বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী মূল ফটকে তালা দিয়ে রাখে। পরে দুপুর ২টার দিকে দুদকের টিমটি সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা ত্যাগ করেন।
তবে অনুসন্ধানের সময়ে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তার বাড়িতে থাকলেও তিনি দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষনিক কিছু জানাতে রাজী হয়নি অনুসন্ধান টিমের নেতৃত্বধানকারী উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী। তিনি জানান, আমরা এখনও অনুসন্ধান চালাচ্ছি। অনুসন্ধান শেষে যাচাই বাছাই শেষে মামলা হলেও বিষয়গুলো জানানো হবে। এখনও আমি কিছুই বলতে পারবো না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল নজরুলসহ ৬ জন ও ১ মে ১ জনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা করা হয়। এরপর নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যায়। গত বছরের ১২ নভেম্বর ভারত থেকে দেশে আনা হয় নূর হোসেনকে। পরে ১৩ ডিসেম্বর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামালের কাছে সম্পদের হিসাব জমা দেন নূর হোসেন। যেখানে নূর হোসেন এক কোটি ৭৮ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৯ মে অনুসন্ধান শুরু করার পর নূর হোসেনের নামে-বেনামে প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা