সীমানা জটিলতার কারণে বর্তমান চেয়ারম্যানের রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তিনমাসের জন্য সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আ'লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ও ক্লিনিক ভাংচুর করেছে।
এতে দু'পক্ষের সংর্ষে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই ইউপি সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার কড্ডার মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। পোস্টার লিফলেটে এলাকা ছেয়ে গেছে। অনেক প্রার্থী টাকা-পয়সা খরচ করেছেন। এ অবস্থায় সকালে হাইকোর্ট থেকে তিনমাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নবিদুল ইসলামের সমর্থকরা রিটের বাদী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সৌপ্তিক আহমেদ মিঠুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা চেয়ারম্যানের বাড়ি ও ক্লিনিকের কাঁচ ভাংচুর-চেয়ার ভাংচুর করে। এতে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিনসহ অনন্ত ১০জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আরো কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করা হয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আহতদের মধ্যে মেম্বর প্রার্থী আব্দুল মমিন, সিরাজুল ইসলাম ও সিদ্দিকুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নবিদুল ইসলাম জানান, সকালে ইউপি সদস্য আব্দুল মোমিনসহ কয়েকজন ভোট চাইতে গেলে মহাসড়কের পাশে মিঠুর সমর্থকরা তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে মিঠুর বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান চক্রান্ত করে নির্বাচন স্থগিত করাতেও জনগন ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
সয়দাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৌপ্তিক আহম্মেদ মিঠু জানান, গত বছর সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনমাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন আদালত। এ কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নবিদুল ইসলাম ও তার সমর্থকেরা কড্ডার মোড়ে আমার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এ নিয়ে নবিদুলের সমর্থকদের সাথে এলাকাবাসী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সদর উপজেলার নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন জানান, গতকাল হাইকোর্ট সয়দাবাদ ইউনিয়নের নির্বাচন তিনমাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দেন। নির্দেশের কপিটি সকালে সিরাজগঞ্জে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ওই ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন