লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নির্যাতিতা নারী শ্রমিক খুরশিদা বেগমের চিকিৎসা ও মামলার দায়িত্ব নিয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরজাহান বেগম মুক্তা। তিনি আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামের নির্যাতিতা খুরশিদা বেগমের বাগি গিয়ে তার খোঁজ-খবর নেন।
এদিকে টাকার অভাবে খুরশিদা বেগমের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় এমপি মুক্তা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং রামগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুরশিদা বেগমকে নির্যাতনকারী আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি তার মেয়ের কর্মসংস্থানের জন্য একটি সেলাই মেশিন দেন এবং ভবিষ্যতে খুরশিদা বেগমকে যেন রাস্তা নির্মাণের কাজ করতে না হয় সে ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন নির্যাতিতার চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ সময় রামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আ ক ম রুহুল আমিন, ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া আক্তার ও রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক খুরশিদা বেগম রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় স্থানীয় হাছিনা বেগম নামের এক নারী খুরশিদাকে মিথ্যা অপবাদ (হাছিনার স্বামীর সঙ্গে খুরশিদার পরকীয়া প্রেম রয়েছে বলে তার অভিযোগ) দিয়ে তার বাড়িতে ধরে নিয়ে যান। এ সময় হাছিনা ও তার স্বজনরা খুরশিদাকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে বেদম প্রহার ও শ্লীলতাহানী করে। এক পর্যায়ে তারা খুরশিদার মাথার চুল কেটে চুন-কালি মেখে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত হাছিনা বেগমকে গ্রেফতার করে। তবে অন্য অভিযুক্তদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ মার্চ ২০১৬/ এস আহমেদ