নৌযান শ্রমিকদের চতুর্থ দিনের মত ধর্মঘটে অচল রয়েছে মংলা সমুদ্র বন্দর। মংলা বন্দর থেকে নৌপথে পন্য পরিবহন ও নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। অনিদৃষ্টিকালের এই ধর্মঘটে বিপাকে রয়েছেন আমদানিকারকরা।
বন্দরের আমদানিকারকদের প্রতিদিন জাহাজ ভাড়া বাবদ ৫ হাজার ডলার করে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। বন্দরে ছয়টি মাদার ভ্যাসেলে থাকা পন্য খালাস করতে না পেরে আমদানিকারকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মংলা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।
বেতন ভাতা বৃদ্ধি, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে বুধবার মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ নৌযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করে। এতে আজ চতুর্থ দিনের মত মংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের মংলা শাখার কার্যকরী সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, ধর্মঘটে শনিবার থেকে যাত্রীবাহি লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও পন্যবাহী নৌযান ধর্মঘট এখনো চলছে। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটে লাইটারেজ জাহাজ, কার্গো, বার্জ, ভলগেট, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টারসহ সব ধরনের পন্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মংলা বন্দরের সহকারী ব্যবস্থাপক (ট্রাফিক) কাজী মোক্তাদির হোসেন জানান, ধর্মঘটের কারনে মংলা বন্দরে আসা ছয়টি মাদার ভ্যাসেলে থাকা পন্য আমদানিকারকরা খালাস করতে পারছেনা। ফলে তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-১৪