যশোরের পরিবহণ শ্রমিক নেতা মুনসুর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে এমন খবরে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে জেলার সব রুটে সকল ধরণের যানবাহণ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মুনসুরকে আটকের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। মুনসুর আলম যুবলীগের জেলা কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে শ্রমিক নেতা মুনসুরের মুক্তির দাবিতে সকল রুটে যানবাহণ চলাচল বন্ধের পাশাপাশি রাত ৮টা থেকেই শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে।
বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, মুনসুর পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক সমিতির যশোর-মাগুরা সড়ক শাখার সাধারণ সম্পাদক। আমরা জানতে পেরেছি যে মুনসুরকে সাদা পোশাকের পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। তাকে ডিবি পুলিশ অফিসে রাখা হয়েছে। এখন ডিবি পুলিশ ও সাধারণ পুলিশ তাকে আটক করার বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি খেলছে। মুনসুরকে মুক্তি দেওয়া না পর্যন্ত এই অবরোধ চলবে বলে জানান আজিজুল আলম মিন্টু।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ''যশোর পুলিশের কোন শাখাই মুনসুরকে আটক করেনি এটা আমি নিশ্চিত। তাছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশনার পর যশোর পুলিশ সাদা পোশাকে কোথাও অভিযানে যায় না। কাউকে আটক করতে গেলে পুলিশ পোশাক পরে পরিচয় পত্র সাথে নিয়ে যায়।''
এদিকে হঠাৎ করে পরিবহণ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দূরপাল্লার যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। যশোর উপশহর টার্মিনালের কয়েকটি পরিবহণ কাউন্টারের কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় যাওয়ার জন্য বহু যাত্রী আগেই থেকেই টিকিট কেটে রেখেছিলেন। হঠাৎ গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন / এস আহমেদ