টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের ভোলারপাড়া গ্রামে বলদের মাংস খেয়ে ২৩ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১৮ জন গোপালপুর হাসপাতালে এবং অবশিষ্টরা ভূয়াপুর ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. মতিউর।
হেমনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন জানান, গোপালপুরের ভোলারপাড়া গ্রামের মিনহাজ চাকদার গত ২০ জুন সোমবার তার পোষা একটি বলদ রোগাক্রান্ত হলে তা জবাই করে মাংস বিতরণ করেন। বলদ জবাই, মাংস ছাড়ানো, বিতরণ ও রান্নার সাথে জড়িত সবাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে আহামদ চাকদার, তাজেম তালুকদার, কবির হোসেন, লেবু মিয়া, আরিফ হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন, ইয়াজ উদ্দীন, আলিফ মিয়া, রাজিব হোসেন, গোলবানু, বণ্যা ইসলাম, জায়দা বেগম, কোহিনূর বেগম, শাহনাজ বেগম, কনা বেগম, শিউলী রহমান গত মঙ্গলবার গোপালপুর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
পরে গরুর মাংস খেয়ে আক্রান্ত অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জন ভূঞাপুর ও টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. মতিউর। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গরু জবাই, মাংস বন্টন এবং মাংস ধোঁয়ামোছার সাথে জড়িতদের সবাই আক্রান্ত হয়। প্রথমে হাতে ঘা দেখা দেয়। পরে তা শরীরের অন্যান্য্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ওই গ্রামে একটি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে বলেও জানান উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. মতিউর ।
বিডি প্রতিদিন/২৭ জুন ২০১৬/হিমেল-০৫