রাঙামাটিতে ঈদের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। ফলে একটু স্বস্তি ফিরেছে রাঙামাটি ঈদ বাজারে। চড়া দামের গরম বাজর এখন প্রায় ঠান্ডা। অভিযোগ উঠেছে, ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতে সাজিয়ে রেখেছেন নানান ডিজাইনের কাপড়-চোপড়সহ নানা পণ্যে। বাহারি ডিজাইনের ভারতিয় নাটকের নামে পোশাকের দিকে আকর্ষণ ছোট-বড় সবার। নারীদের জন্য নানান বাহারি রঙের শাড়ি, থ্রি পিস, ফতোয়া ও ছেলেদের আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, বাচ্চাদের জন্য নানা ডিজাইনের পোশাক। এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকমের সুতি ও জর্জেটের থ্রিপিসও। তাই এসব জামা-কাপড়ের দামও বেশ চড়া। তারপরও ঈদের কেনাকাটা বলেই কথা। ক্রেতারা বেশী দাম দিয়েও কিছুনা কিছু কিনে বাড়ি ফিরছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগের আঙ্গুল ব্যবসায়ীদের দিকে।
সংশ্লিষ্ট তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি শহরে চড়াদামে কাপড় বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের নজরদারী বাড়িয়েছে বিভিন্ন বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতানগুলোতে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সমাসুল আরেফিনের নির্দেশে ও প্রায় প্রতিদিন চলছে মোবাইল কোর্ট অভিযান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. গোলাম মোর্শেদ খান পাভেল নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনার কাজ করছেন। অভিযানে বেশ কয়েটি দোকানে ৫৫০ টাকার শার্ট ১হাজার৮৫০ টাকা, ৩২শ টাকার শাড়ি সাড়ে ৬ হাজার টাকা, ১৫শ টাকার থ্রি পিছ সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রির দামের ষ্টিকার লাগানো দেখে ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী দিয়ে তিনদিন মধ্যে সঠিক দামের স্টিকার ব্যবহার করার নিদের্শ দেন ভ্রার্মমান আদালত।
রাঙামাটি শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র বনরূপার বিএম শপিং কমপ্লেক্স, আলিফ মার্কেট, আইসিআর সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহুতে রাঙামাটি ঈদ বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। ইতিমধ্যে জমে উঠেছে রাঙামাটির বিভিন্ন শপিংমলগুলো। সকল বয়সী ক্রেতাদের এসব মার্কেটে উপছে পড়ার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের মত জামা-কাপড় কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তাই ব্যবসায়ীদের একটুও দম ফেলার ফুরসৎও পাচ্ছেন না। এ মধ্যে চলছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযান। অসংখ্য ক্রেতার আনাগোনা ও সরব উপস্থিতিতে যেন এই মার্কেটগুলোতে উৎসবের আমেজে পরিণত হয়েছে।
রাঙামাটির বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আবু সৈয়দ জানান, মার্কেটগুলো আসা ক্রেতারা যাতে সুলভমূল্যে তাদের পছন্দ জিনিস কিনতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ক্রেতারা যাতে কোন ধরনের হয়রানি শিকার না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন
