দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকার সব ধরণের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তাই বন্যায় কোন মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে না। সাধারন মানুষকে বন্যার ক্ষতি থেকে কিভাবে বাঁচানো যায় সেটাও নির্ধারন করে রাখা হয়েছে। যে সকল পরিবার বন্যা কবলিত হবে তাদের টিন দিয়ে ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। সেই সাথে পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রীও দেয়া হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগক ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী জেলার কোথাও আগাম বন্যা হলে তাৎক্ষনিকভাবে ত্রান মন্ত্রনালয়কে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এছাড়াও মন্ত্রী বন্যা মোকাবেলায় যে সকল স্থানে সামান্য ত্রুটি বিচ্যুতি আছে সেগুলো খুব কম সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে ব্যাহত করার জন্যই গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলা চালানো হয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে সমাজ, দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের মহা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব রিয়াজ আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামানুর রহমান, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা অলি উদ্দিন, এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
পরে মন্ত্রী কাজিপুরে বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। তবে সভায় অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অনুপস্থিত ও জেলার ত্রাণ বিষয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/১২ জুলাই ২০১৬/হিমেল-০২