বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্যাপন ও আসন্ন শীত মৌসুম সামনে রেখে ঢাকায় শুরু হয়েছে ১২তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার। এ মেলা উপলক্ষে তিন দিন নির্ধারিত রুটে ১৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। গতকাল বিকাল ৩টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ ও পুষ্পাঞ্জলিতে এ মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। এ মেলা চলবে আগামীকাল পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় দুটি হলে ১৮০টি স্টলে দেশি-বিদেশি পর্যটন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা এবং বিদেশি দূতাবাস ও মিশন অংশ নেয়। মেলার সাইডলাইন ইভেন্ট হিসেবে পর্যটন সম্পর্কিত সেমিনার, বিটুবি সেশন, প্রোডাক্ট প্রমোশন, ডেস্টিনেশন প্রেজেন্টেশন ও নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় হোটেল ও রিসোর্টসমূহ নিজেদের লাক্সারি সেবা প্রদর্শন করছে। এবারের মেলার টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, প্রাইম পার্টনার কান্ট্রি নেপাল, পার্টনার কান্ট্রি ফিলিপাইন ও মালদ্বীপ এবং হোস্ট কান্ট্রি বিউটিফুল বাংলাদেশ।
মেলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মার্কেটিং ও সেলসের (ভারপ্রাপ্ত) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস কে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মেলায় জাতীয় পতাকাবাহী একমাত্র আকাশ পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রচারের জন্য অংশগ্রহণ করেছি। দেশে-বিদেশে বিমানকে আমরা তুলে ধরতে চাই। মেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে মানুষ ঘুরতে যায়। এ ধরনের পর্যটন মেলায় মানুষ অনেক ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য মেলাকে কেন্দ্র করে আটটি গন্তব্যে আমরা ১৫ শতাংশ করে ছাড় দিচ্ছি। এ তিন দিনের জন্য বিমানের যে কোনো বিক্রয় কেন্দ্র এবং অনলাইন থেকে ক্রয় করলে এ সুবিধা রয়েছে।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিমান স্টলে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং বিমানের সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন হচ্ছে। মেলায় যাওয়া দর্শনার্থীরা বিমানের স্টলে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে জিতে নিতে পারবেন এয়ার টিকিটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় উপহারসামগ্রী। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) গুলনকশা হলে চার দিনব্যাপী শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ান বাণিজ্য মেলা। সার্কভুক্ত দেশসমূহের অংশগ্রহণে দক্ষিণ এশিয়ান বাণিজ্য মেলায় থাকছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র, জেমস ও জুয়েলারি, কসমেটিকস, চামড়াজাত পণ্য, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও কিচেনওয়্যার, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ইলেকট্র্রনিক্সসহ বৈচিত্র্যময় পণ্যের সমাহার। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। মেলাটি সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসসিসিআই) এবং দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে। সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ব্যবসাবাণিজ্যের দিকে মনোযোগী হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সাফটার সদস্যরা নিজেদের মধ্যেই বড় ব্যবসা করে। আমাদের ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি। নিজেদের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য বাড়ানো উচিত।
আইসিসিবির ৪ নম্বর হল নবরাত্রিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি প্রদর্শনী। দেশীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পণ্য প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী, আমদানিকারক, সফটওয়্যার ও সাইবার নিরাপত্তা খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়তে শুরু হয় এই ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো ২০২৫’।
এতে আন্তর্জাতিক শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক বিভিন্ন বিষয়ে দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পণ্য প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী, আমদানিকারক, সফটওয়্যার, ব্যাংকিং, করপোরেট, সাইবার নিরাপত্তা খাতের তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনের সঙ্গে দেশীয় নিরাপত্তা প্রযুক্তি শিল্পের স্মার্ট সংযোগ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পণ্যের তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসার নতুন সুযোগ তৈরি হবে।