নতুন জাতের ব্রি ধান ১০৩ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন কৃষিকরা। এতে তারা খুশি। এই জাত তারা আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৩ এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসে এই তথ্য জানা গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বুড়িচং, কুমিল্লার সহযোগিতায় এবং ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার আয়োজনে বুড়িচং সংকুচাইল উত্তর গ্রামে মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি অফিস জানায়, নতুন এ জাতটি চলতি আমন মৌসুমে বুড়িচং উপজেলায় বিভিন্ন বøকে এক একর করে মোট ৫৫ একর জমিতে প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজাপুর ব্লকের উত্তর গ্রামে প্রায় ২০ একর জমিতে প্রদর্শনী দেওয়া হয়। এছাড়া আরও প্রায় ২০ একর জমিতে সংরক্ষিত ও প্রকল্পের বীজ সহায়তা হতে ব্রি ধান ১০৩ জাতটি চাষ করা হয়।
উত্তর গ্রামের কৃষক মির্জা কাজল, মিঠু মিয়া, ইব্রাহিম খলিল, রিপন আহমেদ, মোরশেদ আলম,হুমায়ুন কবির ও সৈকতসহ আরোও ৫০ জনের বেশি কৃষকের জমিতে এ বছর প্রথমবারের মতো ব্রি ধান ১০৩ চাষ করেন।
কৃষকরা জানান, বিভিন্ন জমির ব্রি ধান ১০৩ এর ৫ টি নমুনা শস্য কর্তন সম্পন্ন করা হয়। এতে হেক্টর প্রতি ৫.৬ হতে ৭.৫৬ টন/হেক্টর অর্থাৎ বিঘা প্রতি ১৯ হতে ২৫ মন ফলন পাওয়া গেছে। ভালো ফলন হওয়ায় পরবর্তী মৌসুমে ব্রি ধান ১০৩ চাষে তারা আরও বেশি চাষ করবেন।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডিএই, কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ মো. আজিজুর রহমান। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডিএই কুমিল্লা জেলার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ড. মোহাম্মদ এখলাছুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. আতিকুর রহমান ও ব্রি কুমিল্লার এসও বিজয়া সাহা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রি কুমিল্লার এসএসও মো. মামুনুর রশিদ।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক