গেরহাটের মোরেলগঞ্জে এক বিধবাকে(২২) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের এক কর্মীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষিতা ওই নারী নিজেই বাদি হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় মামলাটি দায়ের করেন। এর আগে, সোমবার রাতে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে বুধবার তার চিকিৎসাসহ ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ওই নারীর বাড়ি নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব আমরবুনিয়া গ্রামে।
ধর্ষিতা ওই নারী জানান, স্বামীর অকাল মৃত্যু হওয়ায় ৩ মাস পূর্বে থেকে তার সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় পশুরবুনিয়া গ্রামের জালাল হাওলাদারের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী জাকির হোসেন(৩৫)’র সাথে। এই প্রেমের সুবাদে গত সোমবার জাকির তার প্রেমিকাকে বিয়ে করার কথা বলে পশুরবুনিয়া গ্রামে আসতে বলে। বিধবা নারী তার এক চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে (১৭) সাথে নিয়ে সেখানে গেলে রাত ৮টার দিকে জাকির তার অপর ৩ সহযোগীকে নিয়ে পশুরবুনিয়া গ্রামের ফারুক হাওলাদারের বাগানে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। ওই সময় সাথে থাকা মেয়েটি পালিয়ে গিয়ে প্রথমে একটি পুকুরে নেমে ঝোঁপের আড়ালে পালায়। পরে সেখান থেকে উঠে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনের কাছে সাহায্য চাইলে তারা এসে বিবস্ত্র ও গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরদিন মঙ্গলবার আমেরিকা প্রবাসী ফারুক হাওলাদারের বাড়ি থেকে ধর্ষিতা নারী ও তার ভাইয়ের মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল খায়ের বলেন, জাকির হাওলাদার আওয়ামী লীগের কর্মী। তবে সে এই গণধর্ষণ ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে না।
থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২২ বছর বয়সী এক নারীকে ৪ যুবক গণধর্ষণ করেছে। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষকদেরকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব