বগুড়ায় জঙ্গিবিরোধী শোভাযাত্রায় অংশ নিলো নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নুরুল ইসলাম মন্ডল! নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ১ ডজন মামলা থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। ২০০৩ সালের ৩ মার্চ জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, সরকারি দপ্তরে এবং থানায় হামলা মামলার অন্যতম আসামি নুরুল ইসলাম। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালতের নথিতে পলাতক থাকা এই জামায়াত নেতা গত সোমবার পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ওই শোভাযাত্রায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও বগুড়া-৪ (কাহালু নন্দীগ্রাম) আসনের সাংসদ রেজাউল করিম, নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শরীফুন্নেসা , থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান শামিম ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানসহ ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশেও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত নাশকতার ১৫টি মামলা দায়ের এবং অধিকাংশ মামলায় তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ৩ মার্চ সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদে গান পাউডার ঢেলে ১৭টি সরকারি দপ্তর পুড়িয়ে দেওয়া ও থানায় হামলা এবং ইউএনও-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জিপ পোড়ানোসহ সহিংসতা ও নাশকতার চার মামলায় নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার ওসি হাসান শামিম ইকবাল মোবাইল ফোনে জানান, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরাধী সমাবেশ-শোভাযাত্রায় উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিত ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে জারি করা কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনো হাতে পাইনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতো।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ জুলাই ২০১৬/শরীফ
