বয়স যখন ১০ কি ১১, তখনই স্বামী কমল রবিদাসের হাত ধরে বাবার বাড়ি ছেড়েছিলেন রামগতি রবিদাস। বর্তমানে বয়স তাঁর ৫৩। স্বামীর সংসারে একে একে সাতটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু কেউই আর জীবিত থাকেনি। প্রত্যেকেই জন্মের মাস দুয়েকের মধ্যে মারা যায়।
১৩ বছর আগে হারিয়েছেন স্বামীকেও। স্বামীর নিবাস নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ার রবিদাসপাড়ায় বসবাস করে আসছেন রামগতি। সবাইকে হারিয়ে স্বামীর ছোট কুটিরই তাঁর আপন ঠিকানা। স্বামীর রেখে যাওয়া স্মৃতি ছোট দোকানে বসেই জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন। আর সে আয় দিয়েই চলে তাঁর সংসার। কারও কাছে তিনি হাত পাতেন না। এমনই একজন সংগ্রামী বৃদ্ধা নারীর পাশে এগিয়ে এসেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘ। ‘শুভকাজে সবার পাশে’ স্লোগানে শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে রামগতি রবিদাসের হাতে তুলে দিয়েছে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। দেওয়া হয়েছে নগদ টাকাও।
গতকাল বিকালে রামগতি রবিদাসের কর্মস্থল চাষাঢ়া হকার্স মার্কেটের সামনে গিয়ে তাঁর হাতে এ উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। আর এ উপহারসামগ্রী পেয়ে রামগতি রবিদাসও বেজায় খুশি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় মোহাম্মদ শহীদ। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ একজন নারীকে উপহার দিয়েছে। এটা খুবই ভালো কাজ। বসুন্ধরা শুভসংঘ সব সময় ভালো কাজ করে থাকে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রকাশনা সম্পাদক মো. আল মনির বলেন, ‘বসুন্ধরা দীর্ঘদিন ধরে অসহায় দ্স্থু মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে আমরা একজন বৃদ্ধ নারীর পাশে এগিয়ে এসেছি; যে নারী এখনো কর্ম করে খাচ্ছেন।’