বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন এলাকার তরুণরা। সরকারি উদ্যোগের অপেক্ষা না করে নিজেদের শ্রম ও অর্থায়নে গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শতাধিক যুবক, বৃদ্ধ এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারের কাজ করেন। রাস্তায় মাটি ফেলে সমতল করা ও ভাঙা অংশ মেরামতসহ চলাচল উপযোগী করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদারবাড়ি থেকে মোল্লাবাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার ইটের তৈরি রাস্তা দীর্ঘ দুই যুগ ধরে অবহেলিত ছিল। ইট খসে পড়া, খানাখন্দ ও কিছু অংশ খালের মধ্যে ধসে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ ও সাধারণ পথচারীরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেও কার্যকর পদক্ষেপ না পাওয়ায় এলাকাবাসী অবশেষে নিজেরাই উদ্যোগ নেন।
এ উদ্যোগে নেতৃত্ব দেন মো. জাহাঙ্গীর মাল, মো. আনিসুর রহমান খান, এইচ এম জামাল উদ্দিন মাস্টার, মো. ইব্রাহিম খলিল, মো. আরিফ হোসেন, মো. আবুল বাশার, মো. সায়েম খান, নূর হোসেন খান ও মো. ফারুক হোসেনসহ তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। সাবেক ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা ছিল ভয়াবহ। অবশেষে তরুণদের উদ্যোগে কাজ শুরু হওয়ায় আমরা গর্বিত।
স্থানীয় যুবক আরিফ হোসেন বলেন, আমরা কাউকে দোষ দেইনি। ভেবেছি গ্রামটা আমাদের, উন্নয়নও আমাদের দায়িত্ব। স্কুল শিক্ষিকা শারমিন জাহান বলেন, প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী এই পথ দিয়ে চলাচল করে। রাস্তাটি মেরামতের ফলে এখন তাদের যাতায়াত অনেক সহজ হবে। দীর্ঘদিনের অবহেলা পেরিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের মাধ্যমে পথটি আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। কেদারপুরের তরুণদের এ উদ্যোগ গ্রামীণ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত।