চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার আলাওল ডিগ্রি কলেজে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি ইমরানুল হক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম চৌধুরীর মাথা ফাটে। তাছাড়া এ ঘটনায় দুই নেতার পাঁচ অনুসারী আহত হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগে পাল্টাপাল্টি তিনটি কমিটি আছে। এর মধ্যে আজ সংঘর্ষে জড়ানো দুই পক্ষই সাংসদ মোস্তাফিজের অনুসারী কমিটির নেতা হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাঁশখালী পৌর সদরের আলাওল ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। এ উপলক্ষে কলেজ কর্তৃপক্ষ আজ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়রের সংবর্ধনার আয়োজন করে। সকালে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর আগেই কলেজের নিকটবর্তী মিয়ারবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শুরুতে মিয়ারবাজারে ইমরানুল হক ও তার অনুসারীদের সঙ্গে ফাহিম চৌধুরী ও তার অনুসারীদের হাতাহাতি হয়। এরপর দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে মারামারিতে জড়ায়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ কলেজ মাঠে ছড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর ইমরানুলের অনুসারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবার মিয়ারবাজার এলাকায় জড়ো হয়। ততক্ষণে ফাহিমের অনুসারীরা সরে যায়। পরে কলেজ মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। কলেজ ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী বলেন, কলেজ জাতীয়করণ করায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। কলেজ মাঠে দলাদলি নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। সেটা ভিন্ন বিষয়। সংবর্ধনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। অনুষ্ঠান স্বাভাবিক ভাবে শেষ হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইমরানুল হক ও ফাহিম চৌধুরী নামের দুই জনের মাথা ফেটেছে। আরও চার-পাঁচ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পসে ঢুকতে পারছিলেন না সভাপতি ইমরানুল ও তার সমর্থকরা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষ হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ জুলাই ১৬/ সালাহ উদ্দীন
