নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে নন্দিত কথা সাহিত্যক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপিঠে আগতদের সন্দেহমূলক আচরণে আতঙ্কিত হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন প্রধানশিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান। কেন্দুয়া থানায় গত ১৩ জুলাই এ জিডি করেন তিনি (জিডি নং: ৪৭৮)।
বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান জানান, রমজান মাসের শেষের দিকে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে অজ্ঞাত পরিচয় এক মধ্য বয়সী পাগল লোক আসে। তাড়ালেও যেতে চায় না এবং কারো সাথে কথা বলে না। পাগল ভেবে কেউ আর কিছু বলেনি। পরে গত ১০ জুলাই অজ্ঞাত পরিচয় হাতে শেকল বাধা দুই যুবক এসে পাগলের সঙ্গে কথা বার্তা বলে। পাগলকে কয়েল কিনে দিয়ে যায়। সেইসাথে কুতুবপুর গ্রামের আ. সালাম, আলী হোসেন, আল আমিনসহ গ্রামের বেশ কিছু লোকের কাছে ওই দুইজন জানতে চায় হুমায়ূন আহমেদ স্যার নামাজ পড়তেন কি না, মসজিদে দান খয়রাত করতেন কি না, ইসলাম ধর্মীয় কাজে সম্পৃক্ত হতেন কি না ইত্যাদি।
এক পর্যায়ে স্কুলের শিক্ষকদের বসার ঘরে গিয়েও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরিচয় জানতে চাইলে কৌশলে পরিচয় না দিয়েই তারা চলে যায়। এতে স্কুলের শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মাঝে অপরিচিতি দুই যুবকের রহস্যজনক আচরণ সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দেয়। তবে দুই যুবকের আসার ঘটনাটি তিনি নিজ চোখে দেখেননি বলেও জানান। স্কুলের পাশের দোকান মালিক আলী আকবর ও সালামের কাছে শুনেছেন। পরে ঢাকায় অবহিত করলে থানায় জিডি করার কথা বলা হয়।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ওসি অভিরঞ্জন দেব বলেন, স্কুলে তো প্রতিদিনই লোকজন আসে যায়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ জুলাই হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবাষিকী।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ