মাদারীপুরের শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ রুটের পদ্মা নদীতে অব্যাহত পানি বেড়ে বিপদ সীমার ৩৮ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কাওড়াকান্দি ঘাটের ২নং ঘাটটি এক সপ্তাহ ধরে পানিতে নিম্মজ্জিত রয়েছে। অপর একটি রো-রো ফেরি ঘাটে চলছে সংস্কার। তবে অনওয়ে-তে ঘাট দিয়ে যান উঠানামা সম্ভব বলে দাবী সংশ্লিষ্টদের। তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় ফেরিসহ নৌযানগুলো ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার উজান বেয়ে পদ্মা নদী পারি দিতে গিয়ে দ্বিগুন থেকে আড়াইগুন সময় বেশি লাগছে।
ফেরিগুলো শিমুলিয়া প্রান্তে প্রায় ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার উজানে গিয়ে চললেও পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে। ৩ টি ডাম্ব ফেরিসহ ৪টি ফেরি বন্ধ রয়েছে। এখন এই নৌ-রুটে ১৪টি ফেরি চলছে। চলমান ফেরিসহ নৌযানগুলোও পারাপারে দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে। কাওড়াকান্দি ঘাটের ২নং ঘাটটি প্রায় এক সপ্তাহ আগেই পানিতে তলিয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিসি এ ব্যাপরে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী পান্না বেগম জানান, দীর্ঘ পথ যানবাহনে কাওড়াকান্দি ঘাটে এসে ফেরি ঘাটে চরম বিড়ম্বনার শিকার হই। দিন-দিন কাওড়াকান্দি ফেরি ঘাটে যাত্রী ভোগান্তি বেড়েই চলছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে উদাসীন। এখনো ২ নম্বর ঘাটটি অন্য স্থানে স্থাপন করে সচল করানো সম্ভব বলে যাত্রীরা দাবী করেন।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে কাওড়াকান্দি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলি তরিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৩টি এবং কাওড়াকান্দি ঘাটে মাত্র দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আবার পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে কাওড়াকান্দি ৩নং ঘাটটি আজ সকাল থেকে লো-ওয়াটার লেবেল থেকে হাই ওয়াটার লেবেলে স্থাপন করাসহ ঘাট মেরামত করছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার কারণে কাওড়াকান্দি ঘাটের যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ঘাটে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো আবদুস সালাম মিয়া জাান, তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় ফেরিসহ নৌ যানগুলো ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার উজান বেয়ে পদ্মা নদী পারি দিতে গিয়ে দ্বিগুন থেকে আড়াইগুন সময় বেশি লাগছে। বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলছে। তবে মাওয়ার শিমুলিয়া ও হাজরা টার্নিং পয়েন্টে তীব্র স্রোতের কারনে ফ্লাট ফেরিগুলো আইটি জাহাজের সাহায্যে পদ্মা পার হতে হচ্ছে।
কাওড়াকান্দি ঘাটের মেরিন শাজাহান জানান, কাওড়াকান্দি ঘাটের ২ নম্বর ঘাটটি অত্যন্ত নিচু স্থানে করা হয়েছে। পানি না কমলে ওই ঘাটটি সচল করা সম্বব নয় বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/৩০ জুলাই ২০১৬/হিমেল-১৭