বগুড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি এক সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে বন্যা পরিস্থতির অবনতি না হলেও উন্নতি হয়নি।
বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। সোনাতলা থেকে সারিয়াকান্দি হয়ে ধুনট উপজেলা পর্যন্ত ১৫০কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫টি স্পটে বন্যার পানি বাঁধ চুয়ে গড়াচ্ছে। এর মধ্যে ধুনটের ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী স্পট বেশি ঝুকিপূর্ণ। এর আগেও ২০০৩ সালে সেখানে বাঁধের পাানি চুয়ে ভাঙ্গনের ফলে কয়েকশ বাড়ি এবং মানুষ বন্যার পানিতে ভেসে যায়। সেই বন্যায় ধুনট উপজেলা, শেরপুর , গাবতলী, সারিয়াকান্দির একাংশ, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও রায়গঞ্জ উপজেলা প্লাবিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বাঁধের পানি চোয়ানো জায়গায় ওই সব এলাকার লোকজন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদাররা কাজ করছেন। কিন্তু বস্তা ফেলে পানি চোয়ানো বন্ধ করার চেষ্টা করা হলেও এখনও পানি চোয়াচ্ছে।
ধুনটের ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্যামল তালুকদার জানান, শিমুলবাড়ী যে জায়গায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ চুয়ে পানি পশ্চিম পার্শে আসছে সেখানে ২০০৩ সালে একইভাবে পানি চোয়ানোর পর বাঁধ ভেঙ্গে ধুনট, কাজিপুর , শেরপুর সহ অন্যান্য উপজেলা প্লাাবিত হয়ে ফসলি জমিসহ বাড়িঘর ভেঙ্গে গিয়েছিল। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের গুরত্বের সাথে দেখা উচিত।
সারিয়াকান্দি উপজেলার দিঘলকান্দি ও হাটশেরপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু যেকোন সময় তা ভেঙ্গে বিরাট এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, যমুনার পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি যদি আরো বৃদ্ধি পায় তাহলে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হবে। সোনাতলা থেকে ধুনট উপজেলা পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ১৫টি স্পটে বন্যার পানি বাঁধ চুয়ে গড়াচ্ছে। তাৎক্ষনিকভাবে ঠিকাদার নিয়োগ করে সেখানে বাঁধের পানি চোয়া বন্ধ করেছি।
বিডি প্রতিদিন/ ৩০ জুলাই ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন